হোম ফ্যাক্টচেক দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও দুদকের জালে

দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও দুদকের জালে

শিক্ষাবাণী প্রতিবেদক
দুদকের জালে

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) ও ছাত্রপ্রতিনিধি তুহিন ফারাবির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন। তিনি জানান, ‘‘বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং আমরা এ নিয়ে কাজ করছি। দুদকের গোয়েন্দা ইউনিট ইতোমধ্যে অনুসন্ধান শুরু করেছে।’’

সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার সাবেক এপিএস মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবি ও ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে শত শত কোটি টাকার তদবির বাণিজ্যের অভিযোগ উঠে আসে। অভিযোগে বলা হয়, তারা বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে ঘুরে ঘুরে তদবিরের মাধ্যমে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া ঠিকাদারি কাজ ও বিল অনুমোদনের জন্যও তারা তদবির করেছেন। গণমাধ্যমে এই অভিযোগ প্রকাশের পর দুদক তাদের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে এবং প্রাথমিকভাবে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে।

দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ‘‘দুই উপদেষ্টার সাবেক এপিএস ও পিওর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। সংবাদ প্রকাশের পরপরই বিষয়টি আমলে এনে প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘দুদক সাধারণত তিনটি ধাপে কাজ করে—প্রথমে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, এরপর প্রকাশ্য অনুসন্ধান এবং সর্বশেষ তদন্ত শেষে চার্জশিট প্রদান। বর্তমানে আমরা গোয়েন্দা ইউনিটের মাধ্যমে প্রাথমিক আলামত সংগ্রহ করছি এবং ইতিমধ্যে কিছু তথ্যপ্রমাণও পাওয়া গেছে। খুব শিগগিরই দৃশ্যমান অনুসন্ধান শুরু হবে।’’

এদিকে, বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ দুর্নীতির অভিযোগের দ্রুত তদন্ত ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে। গতকাল রোববার সংগঠনটি জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে মিছিল নিয়ে দুদক কার্যালয়ে যায় এবং পরে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী—অ্যাডভোকেট নাদিম মাহমুদ, অ্যাডভোকেট ইয়াছিন আলফাজ এবং অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম—দুদকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তারা তাদের আবেদনে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কার্যকরী ও দৃশ্যমান অনুসন্ধান শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনজীবী নাদিম মাহমুদ বলেন, ‘‘ছাত্র প্রতিনিধিদের দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়া দেশের জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক। দলমত নির্বিশেষে সবাইকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে, না হলে বাংলাদেশ গভীর সংকটে পড়বে।’’

You may also like

Leave a Comment